এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক কলেজছাত্রকে হাতুড়ি পেটার অভিযোগে মুবিনুল ইসলাম নামের পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মুবিনুল চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানায় এসআই ( উপপরিদর্শক) পদে আছেন।
মামলায় মুবিনুল ছাড়া তাঁর পিতা, ভাই ও চাচাকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল রোববার চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্যারচর মন্ডলপাড়ার হাবিবুর রহমান।
আদালতের বিচারক মো. জাহিদ হোসাইন মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলমকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মিফতাহ্ উদ্দিন আহমদ।
মামলার এজাহারনামীয় অপর আসামিরা হলেন, এসআই মুবিনুল ইসলামের ছোট ভাই মো. রনিকে (২০) , পিতা নুরুল আমিন সওদাগর (৫৫) ও তাঁর চাচা আবদুল হক (৩৬)।
মামলার এজাহারের সূত্রে জানা যায়, গত ৪আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এলাকায় মামলার প্রধান আসামি মো. রনির সাথে বাদীর ছোট ভাই কক্সবাজার সরকারি কলেজর অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমানের খেলা বিষয়কে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংশা হয়।
ওইদিন রাত ৯টার দিকে মামলার বাদি হাবিবুর রহমান ও তাঁর ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা পৌরশহরে যাচ্ছিল। এসময় এসআই মুবিনুল ইসলামসহ তাঁর ছোট ভাই, পিতা ও চাচা মিলে লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ছিকলঘাট বাজারের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে।
এসময় এসআই মুবিনুল নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে হাতুড়ি দিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করলে চোয়ালের একটি দাঁত পড়ে যায়। আরও তিনটি দাঁত গুরুতর জখম হয়। গলায় শ^াসরোধ করে অন্য আসামিরা তাঁকে হত্যার চেষ্টা করে। নগদ ৭০হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। আসামেিদর হাতে থাকা লোহা রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাড়ি জখম করা হয়। স্থানীয় লোকজন মোস্তাফিজুর রহমানকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে হালিশহর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুবিনুল ইসলামের মোবাইলে ফোন করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা পুলিশের চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম বলেন, আদালতের নিদের্শ পেলে এ ব্যাপারে তদন্ত শেষে করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’
পাঠকের মতামত: